১৮ সেপ্টেম্বর,/২০২৩, “বিশ্ব লেখক অধিকার দিবস” উপলক্ষে দাবি আদায় ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক কিছু কথা –
কবি সেই ব্যক্তি বা সাহিত্যিক, যিনি কবিত্ব শক্তির অধিকারী এবং কবিতা রচনা করেন। একজন কবি তার রচিত ও সৃষ্ট মৌলিক কবিতাকে লিখিত বা অলিখিত উভয়ভাবেই প্রকাশ করেন ও একটি নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপট, ঘটনাকে রূপকধর্মী ও নান্দনিকতা সহযোগে কবিতা রচনা করে সর্ব সাধারণকে তৃপ্তি দান করেন ও
সবার চোখে ফুঁটিয়ে তোলেন।
যদি তিনি অজানা, অজ্ঞাত থেকে যান কিংবা বিকৃত, উন্মত্ত, বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন – তারপরও শেষ পর্যন্ত তিনি নিজের দৃষ্টিভঙ্গীর মাধ্যমে সেগুলো অন্যের চোখে তুলে ধরেন।
অবশ্য, এটি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অনেক কবিকূলের দৃষ্টিভঙ্গী এমনই হয়
“ গানের বিষয়বস্তুকে আনন্দের সাথে তুলে ধরা যা সুরকার ও শিল্পীর মাধ্যমে সেটি বিকশিত হয়ে হাজারো মনের আনন্দ দেয় এবং প্রচুর অর্থ উপার্জিত হয়,
এসবের মধ্যে কবিকুলেরা কি পেল!? তাদের জরাজীর্ণ জীবন একই অবস্থায় রয়ে গেল!
এ সমাজের উচ্চবিত্তের কর্মকর্তারা তাদেরকে নিয়ে কি কেউ সেটা কখনো ভেবে দেখেছেন!??
চর্যাপদ দিয়ে বাংলা সাহিত্যের সূচনা। কেউ কেউ চর্যাপদের ৬৫০ থেকে ১২০০ সালের মধ্যে, অপর পক্ষে ৯৫০ থেকে ১২০০ সাল পর্যন্ত চর্যাপদের কাল নির্ণয় করেছেন।সেই আদিকাল থেকে অদ্যবাদী পর্যন্ত কোন কবি সাহিত্যিকদের কি সেই মূল্যায়নটা হয়েছে?
আবার মধ্যযুগের মুসলমান কবির প্রতিও উপেক্ষা প্রদর্শনের ফলে তাঁদের সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হয় নি। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে এই ত্রুটি সংশোধনের যে উদ্যোগ চলছে তার মধ্যে যার নামটি আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই – তিনি হলেন—-
” কলম একাডেমি লন্ডনের ” প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর কবি ও সাহিত্যিক নজরুল ইসলাম হাবিবী স্যার,যিনি সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজপথে ব্যানার হাতে নিয়ে ঘুরে ঘুরে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন যা সত্যি প্রশংসার দাবিদার, আমরা তাঁর জন্য গর্বিত
আধুনিক যুগের কবি সাহিত্যিকদের কারনেও জাতির জন্য উদ্দীপনার সঞ্চার করে। এর বৈচিত্র্য, উৎকর্ষ ও সম্ভাবনা বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে বাংলা সাহিত্যের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে।
প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে, মধ্যযুগের মাধ্যমে আধুনিক যুগে পৌঁছে বাংলা সাহিত্যের একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ইতিহাসে সেটা প্রত্যক্ষ করা যায়।
আধুনিক যুগের উদ্ভবের পরও অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়েছে। সাহিত্য সৃষ্টির প্রাচুর্য ও বৈচিত্র্য এসেছে এ যুগে সর্বস্তরে। কিন্তু কবি সাহিত্যিকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন আসেনি!
তাই বিশ্বদরবারে সর্বস্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সংসদে, আমাদের মানবতার মা, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও আমাদের ১৯ দফা দাবি সহ” লেখক মন্ত্রণালয় চাই ” বিষয়টি উপস্থাপন করলাম। নিশ্চয়ই আমাদেরই ন্যায্য দাবি অচিরেই পূরণ করবেন ইন শা আল্লাহ।
Discussion about this post