নিউজ ডেস্ক : মহান আল্লাহ পাক মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁরই ইবাদাত করার জন্য। তিনি পরীক্ষা করবেন কে কতটুকু সর্বোত্তম আমলের অধিকারী। আখেরি নবীর উম্মতগণের গড় আয়ু পূর্ববর্তী নবীগণের উম্মতগণের তুলনায় অনেক কম; তবুও মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে অপার কৃপা ও অবারিত কল্যাণ দ্বারা ভরপুর করেছেন। স্বল্প হায়াতের এ জীবনে এমন কিছু দামি আমল দিয়েছেন যা অল্প সময়ে আখিরাতের ব্যাপক পুঁজি অর্জনের অনন্য নিয়ামক। হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর তরিক্বতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, দৈনিক ১১১১ বার দরূদ শরীফ আদায়ের পাশাপাশি এমন সব সুন্নাতের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়; যা পৃথিবীতে বিরল। যার মাঝে মোরাকাবা অন্যতম। মোরাকাবার মাধ্যমে মানুষের অশান্ত মন প্রশান্ত হয়, এবাদতে ও আমলে একাগ্রতা আসে, অস্থিরতা দূরীভূত হয়, জীবন যাপনে কোমলতা ও নম্রতা আসে।
শুক্রবার (০৩ জানুয়ারি) বাদে জুমা হতে চান্দগাঁও বলিরহাট খালাসী পুকুর পাড় সম্মুখস্থ মাঠে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১৩ নং চান্দগাঁও শাখার ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এশায়াত মাহফিলে উপস্থিত হাজারো মুসলমানের উদ্দেশ্যে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদ, আওলাদে রাসূল (দ.) হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শায়খ ছৈয়্যদ মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী এসব কথা বলেন।
চবি সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এশায়াত মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ কাজী আনোয়ারুল আলম ছিদ্দিকী, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানি ফয়সাল ও মাওলানা মুহাম্মদ সায়েম।
মিলাদ-কিয়াম শেষে মাননীয় প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
Discussion about this post