কলম টিভি ডেস্ক : পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম এবং খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর স্মরণে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ ১০৩ নং নোয়াজিষপুর-দলইনগর শাখার সহযোগিতায় আমিরাত প্রবাসী মোফাচ্ছেল হক শাহেদ এর ব্যবস্হাপনায় গত (২৯ অক্টোবর) মঙ্গলবার বাদে আসর হতে রাউজান নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের মাওলানা হোসাইনুজ্জামান বাড়ির প্রবীন আলেমেদ্বীন মরহুম আবুল কালাম আজাদের বাসভবন সম্মুখে এক এশায়াত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ’ কেন্দ্রীয় ওলামা পরিষদের সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ ফোরকান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মুহাম্মদ বখতিয়ার উদ্দিন, আলহাজ্ব মাওলানা নাজিম উদ্দিন, মাওলানা দিদারুল আলম, হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল ইসলাম এবং এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ সহ প্রমুখ।
মাহফিলে বক্তারা বলেন,প্রিয় নবীজির মুহাব্বত ঈমানের মূলধন। রাসূলুল্লাহ (দ.)-কে নিজের সবকিছুর চেয়ে অধিক মুহাব্বত করতে না পারলে মানুষ ঈমানের পূর্ণতার স্তরে পৌঁছাতে পারেনা। খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহু যুবসমাজের মাঝে নবীপ্রেমের বিস্তার করেছেন। সিনা-ব-সিনা তাওয়াজ্জুহ প্রদানের মাধ্যমে মানুষের অভ্যন্তরীণ পরিশুদ্ধ করেছেন। যে তাওয়াজ্জুহ নিলে ইবাদাত বান্দেগিতে খুশুখুযু ও এখলাস সৃষ্টি হয়। দুনিয়াদারির মোহ ছেড়ে আখিরাতের দিকে ধাবিত হয়, আখিরাতের সম্বল জোগারে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠে। নবীজির মুহাব্বত ক্বলবে নিয়ে প্রতিদিন ১১১১ বার দরূদে মোস্তদা আদায়, মোরাকাবার অনুশীলন ও সুন্নাতে মোস্তফার বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইনসানে কামেল হওয়ার পথপরিক্রমা ও নিয়তের পরিশুদ্ধতা রয়েছে খলিফায়ে রাসূল হযরত গাউছুল আজম রাদিআল্লাহু তা’আলা আনহুর তরিক্বতে।
মিলাদ কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে মুনাজাত করা হয়।
Discussion about this post