নিউজ ডেস্ক : জীবনের অন্ধকারে আশার আলো হয়ে এসেছে “প্রজেক্ট হোপ”। স্বামী বিদেশে মারা যাওয়া আয়েশা খাতুনের (ছদ্মনাম) চোখে আনন্দের অশ্রু, যখন জানালেন, তার দুই ছোট মেয়ের জন্য আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন প্রতিমাসে তিন হাজার টাকা করে বৃত্তি দিচ্ছে। স্বামী মৃত্যুর আগে ভিসা ও পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারেননি। অনেক কষ্টের মধ্যে লাশ দেশে এনে দাফন করতে হয়েছে। বাবা দিনমজুর, যার কারণে দিন কাটে আর্থিক অনিশ্চয়তায়। এখন ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।
আয়েশা খাতুন বলেন, “আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। এতিমদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যারা সাহায্য করেন, আল্লাহ তাদেরকেও সাহায্য করেন। সেন্ড অ্যা লিটল হোপ ও আশ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই।
রোকেয়া বেগম (ছদ্মনাম) নামে আরেক মা তিন কন্যা সন্তান নিয়ে একই পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তার স্বামী তিন বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এবং মৃত্যুর আগে কোনো সঞ্চয় রাখতে পারেননি।
শুধু আয়েশা বা রোকেয়া নয়, দেশের শত পরিবারই “প্রজেক্ট হোপ” থেকে উপকৃত হচ্ছে। এই উদ্যোগ Send A Little Hope UK এবং আলহাজ্ব শামসুল হক (আশ) ফাউন্ডেশন যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের আওতায় প্রতিমাসে প্রতিটি এতিম শিশুকে তিন হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ, প্রতি মাসে মোট তিন লাখ টাকা বরাদ্দ থাকবে এই প্রকল্পের জন্য।
আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, নির্বাচিত এতিম শিশুদের শিক্ষাব্যয় বহন, নিরাপদ ভবিষ্যৎ গঠন এবং পরিবারের আর্থিক ভার লাঘব করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। প্রতিমাসে ন্যূনতম তিন হাজার টাকা করে বৃত্তি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।







Discussion about this post