করোনা কাঁপছে পৃথিবী।মানবতার কথা আজ সবাই বলছে,তবে নিজকে নিয়ে সবাই ভাবছে।নির্মম এই পৃথিবী কেননা আমার,আপনার মুলত দু ধরনের চাহিদা থাকে। ১)Physical and Emotional ,২)Economical.আমরা জানি, বর্তমানে জান,জানু কত প্রেমময় শব্দ শুনা যায় মুলত বাস্তবতার কষাঘাতে সবই শুন্য।
আজ বিভিন্ন সম্পর্ক গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে মানুষ আসলে দু ধরনের চাহিদাই মেটানোর চেষ্টা করে,আবার অনেক ক্ষেত্রে নিজস্ব স্বার্থ,নিজের পরিচিতি, অন্যের নিকট নিজকে প্রকাশ,রাজনীতি এই সব জড়িত থাকে। ঐ চাহিদা গুলোকে আজ আমরা ভুলবশত ভালোবাসা নামে নামকরন করেছি যা যথাযত নয়। ধরুন,ছাত্র অবস্হায় যখন যুবক একজন যুবতীর প্রেমে পড়ে, এই ভালোবাসার অর্থ কি ? এর মানে যুবকটি যুবতীটির মধ্যে এমন একজন টানটান নারীকে দেখতে পেয়েছে যাকে তার মনে হয়েছে সে তার শারীরিক এবং মানসিক সকল প্রয়োজন মিটাতে পারবে। আবার যুবতীটি ও যুবকটির মধ্যে এমন একজন মানুষকে অনুভব করেছে যে তার স্বপ্নের পুরুষ, সুন্দর ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিতে পারবে।নিশ্চয়তা এখানে প্রধান। ভাবুন, নিজে খেয়াল করুন,দুজনেরই এই ভালোবাসার মধ্যে নিজেদের প্রয়োজনটা আগে খুঁজেছে। আসলে ভালবাসা – মুলত “প্রয়োজন”। ভালোবাসা এমন প্রকৃতপক্ষে ধারণ করার ক্ষমতা পৃথিবীর ৯৯% মানুষেরই নেই। কিন্তু তারপরে পৃথিবীতে ভালোবাসা আছে,থাকবে। পৃথিবীর বিখ্যাত কবি ও লেখকরা ভালোবাসা বলতে মুলত বুঝাতে চেয়েছেন ভালোবাসা এক মানবিক অনুভূতি। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালি বহিঃ প্রকাশ মাত্র।
ভালোবাসা এক ব্যক্তিগত অনুভূতি যেটি একজন মানুষ আরেক জনের প্রতি অনুভব করে।নরম তুলোর মত আবেগ মোড়ানো,ভাষায় প্রকাশ করতে না পারার স্পর্শকাতর এক তীব্র অনুভূতি।করোনার করুনা আজ আমার জানি কেন সব নুনতা নুনতা লাগে। যেই যাই বলুক, ভালবাসা পুরোটা নিজ স্বার্থ নির্ভর অন্যদিকে লোক দেখানো এক ধরনের ভণ্ডামি।
লেখক, কবি ও গণমাধ্যমকর্মী।
Discussion about this post