কবিতার নাম : চরণের চরণ
লেখক : নজরুল ইসলাম হাবিবী
(সৌজন্যে কলম থেকে একাধিকবার পুরস্কার প্রাপ্ত কবি এডভোকেট সুসেন কান্তি দাস’র জননী।
সুসেন পুরস্কার পাওয়ার পর এই ছবিটি পোস্ট করেছিলো। আমি কমেন্ট না করে ছবিটি সংগ্রহ করেছিলাম একটি কবিতা লিখবো বলে।
সুসেন আমাকে এবং সংগঠনকে ভালোবাসে। সে মার্জিত ও শিক্ষিত ছেলে। সহজেই ভালো লিখতে পারে।
তার অর্জিত পুরষ্কার, সনদ তার মায়ের হাতে তুলে দিয়ে মাতৃভক্তির প্রমাণ রেখেছে। তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। প্রতিটি সন্তানের তা করা উচিত।
এ কবিতায় আমি বলতে চেষ্টা করেছি, পুরস্কারটি মায়ের চরণে নিবেদন করলে ভালো হতো। ‘কলম সাহিত্য সংসদ লন্ডন’ ধন্য হতো। ছেলেমেয়েদের অর্জন, পিতা-মাতার চরণের ময়লার প্রতিদান।
তবে, পিতা-মাতারা সন্তানের অর্জনকে মাথায় তুলে রাখে।
হিন্দু ধর্মের পূজা-পার্বণে দেবদেবীর চরণেই তো ফুল-পুস্প দিতে দেখেছি। ঘরে দেবী রেখে বাইরে দুটো পূজা হয়ে গেল গত সপ্তাহে।
এই লন্ডনে আমার কাছে ‘শ্রীশ্রীচণ্ডী’ আছে।
যেখানে বারবার বলা হয়েছে, “যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা”,,,,,,,
এই শ্লোকে পূজারী দেবীকে প্রকৃত ‘মা’ বলে সম্বোধন করেন নি- বলেছেন ‘রূপেন’, ‘মত ‘।
প্রকৃত মা, মা-ই।
যাঁরা পুজো চান না।
তাঁরা সারা জীবন কষ্ট করে, ভিক্ষা করে হাবিবীর মত রাস্তার ছেলেকে অক্সফোর্ডে পাঠান)।
বাংলা-মায়ের মুখের হাসি
দেখরে আসি সব,
ফুলরা যেন কথা বলে
পাখির কলরব!
কলম-স্বারক শ্রদ্ধা ছবি
হাতে কেনো তাঁর,
কলম সুসেন ধন্য হতো
পায়ে দিলে মা’র।
বাংলাদেশের ঘরে ঘরে
এমন মাকেই চাই
যে মা’র হবে গুণী ছেলে
সভ্য সুশিক্ষায়।
ভাঙবে যে জন ধর্ম জাতির
ঘৃণ্য ভেদাভেদ,
রাখবে বুকে কুরান বাইবেল
ত্রিপিটক আর বেদ।
31.11.2020
লণ্ডন।
Discussion about this post