নিউজ ডেস্ক : গত ২১ই মার্চ, শুক্রবার চট্টগ্রামস্থ আন্দরকিল্লা মানবিক প্রতিষ্ঠান এস, আর, সলুয়েশানের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল শেষে এতিমদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন করা হয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান মোঃ সাইফুল ইসলাম সিকদারের সভাপতিত্বে ও মোঃ এমরান চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও মানবাধিকারকর্মী মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো.মুরাদ, চট্টগ্রাম আলোক সাজসজ্জা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহেদ উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ রুহুল আমিন সালমান, মোঃ শরিফুল ইসলাম মোহাম্মদ মোফিজ,মোঃ মোরশেদ, এজি দস্তগীর টুটুল,মোহাম্মদ ইলিয়াছ রিপন, মোঃ নয়ন,মোঃ শহিদ সহ প্রমুখ।ইফতার দোয়া মাহফিলে কদম মোবারক হাফেজিয়া মাদ্রাসার এতিম অসহায় কোরআনে হাফেজ শিক্ষার্থীগণ অংশ গ্রহন করেন।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, রোজ পালন উন্নত চরিত্র ও আদর্শ সমাজ গঠনে সহায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোজা পালনের সময় লোভ-লালসা, পাপাচার, মিথ্যাচার, ঝগড়া-বিবাদ, ত্যাগ করতে হয়। অশ্লীল কথা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়। এতে ব্যক্তি চরিত্র যেমন উন্নত হয়, তেমনি সুন্দর সমাজ গঠনেও মাহে রমজানের রোজা সহায়ক ভুমিকা পালন করে।
রোজা বা রমজান হচ্ছে তাকওয়া, আত্মশুদ্ধি আত্ম সংযম এবং মহান আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণের ইস্পাতদৃঢ় চেতনার অপর নাম। ত্যাগ- তিতিক্ষা সংযম সমবেদনা, সহমর্মিতার বার্তা বয়ে আনে এই মাস। রহমত (অনুগ্রহ) মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাতের (জাহান্নাম থেকে মুক্তির) মাস হচ্ছে এই মাস।
তিনি বলেন, ইসলামের মূল ভিত্তি ৫টি। কালেমা, নামাজ রোজা, হজ্ব ও যাকাত। নামাজ, হজ্ব, যাকাত যেমন ফরজ; ঠিক তেমনি রোজাও ফরজ। এই পাঁচটি ফরজ বিধানের কোনো একটিকে অস্বীকারকারী কাফের।
মহানবী (সঃ) বলেন, যে ব্যক্তি শরীয়তের অনুমোদন কিংবা কঠিন ব্যাধি ব্যতীত রমজানের একটি রোজা ছেড়ে দিল, বিনিময়ে সারা বছর রোজা রাখলেও তার ক্ষতিপূরণ হবে না।(মিশকাত)অপর এক হাদিসে রাসুল (সঃ)বলেন,যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা পরিহার করতে পারলো না,তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই রোজা একমাত্র আল্লাহর জন্য আর এর প্রতিদান স্বয়ং আল্লাহ দেবেন। রোজা রেখে অনেকে গীবত করে। এটা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
সভাপতি সকলকে সুন্দর আয়োজনে উপস্থিত হয়ে সার্বিক সহয়োগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
Discussion about this post